শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:০০ পূর্বাহ্ন
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: ‘এ প্রশাসন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজকে বিভিন্নভাবে হেনস্তা করেছে। শিক্ষক সমিতির কর্মসূচি বানচাল করার জন্য প্রশাসন ‘গণতন্ত্রের বিজয়’ নামে কনসার্ট আয়োজন করে। নিজেরা জনগণের ট্যাক্সের টাকায় চলেন, আবার রাষ্ট্রের সম্পদ অপচয় করেন। বিশ্ববিদ্যালয়কে দুর্নীতিমুক্ত করে দয়া করে চলে যান। আপনারা বিশ্ববিদ্যালয়কে ঘুষের কেন্দ্র বানিয়ে ফেলেছেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে চবি শিক্ষক সমিতির অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তারা এসব কথা বলেন। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) বেলা ২টার দিকে চবির বঙ্গবন্ধু চত্বরে শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে তৃতীয় দিনের মতো এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।
আইন বিভাগের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. এবিএম আবু নোমান বলেন, আপনি আমাদের নামে ভুয়া নিউজ করাচ্ছেন। মনে রাখবেন, আপনার যত অপকর্ম আছে তার জন্য এক হাজার নিউজ হবে। আপনার নিয়োগ বাণিজ্যের অপকর্ম আজ আয়ত্তের বাইরে চলে গেছে। আপনি মুখে বলেন এক কথা, আর কাজে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। আমরা চাই আপনার শুভবুদ্ধির উদয় হোক।
প্রাণ-রাসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. গোলাম কবীর বলেন, এ প্রশাসন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজকে বিভিন্নভবে হেনস্তা করেছে। প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ এটা আর মেনে নেবে না। শিক্ষক সমিতির অবস্থান কর্মসূচি বানচাল করার জন্য প্রশাসন ‘গণতন্ত্রের বিজয়’ নামে কনসার্ট আয়োজন করে। নিজেরা জনগণের ট্যাক্সের টাকায় চলেন, আবার রাষ্ট্রের সম্পদ অপচয় করেন।
ফিশারিজ বিভাগের শিক্ষক ড. মোহাম্মদ শহিদুল আলম বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়কে দুর্নীতিমুক্ত করে আল্লাহর ওয়াস্তে চলে যান। আপনারা আজ বিশ্ববিদ্যালয়কে ঘুষের কেন্দ্র বানিয়ে ফেলেছেন। আমার বাসা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে। এখানের স্থানীয় মানুষেরা এসে বলে- আমাদের একটা চাকরি দেন, আমরা ৫-৬ লাখ টাকা দেব। আমি কী করে বোঝাবো আমরা ঘুষখোর না। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ইন্টারভিউ কার্ড নিতেও টাকা লাগে। আমরা আসলে কোথায় আছি? চবি শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি মো. আলাউদ্দিন বলেন, নতুন কর্মসূচি হাতে নিয়েছি আমরা। ‘কেমন আছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়?’ নামে আগামী সোমবার একটি গণসংযোগ প্রদর্শনীর আয়োজন করবো। আগামী সোমবার থেকে আবার আমাদের আন্দোলন চলমান থাকবে।